ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে নামাজ ও রোজার গুরুত্ব অপরিসীম। নামাজ ও রোজা'র আরবি শব্দ যথাক্রমে - ‘সালাত’ ও ‘সওম’ , আভিধানিক অর্থ করলে দাঁড়ায় যথাক্রমে - 'প্রার্থনা করা' ও 'বিরত থাকা'। নামাজ ও রোজা সম্পর্কিত পবিত্র কুরআনের কিছু আয়াত এখানে তুলে ধরা হলো।
- اِنَّ الصَّلٰوةَ تَنْهٰى عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ
নিশ্চয়ই নামাজ মানুষকে অশ্লীল ও ঘৃণিত কাজ থেকে বিরত রাখে। (সূরা: আনকাবূত, আয়াত-৪৫)
- قَدْ أَفْلَحَ الْمُؤْمِنُوْنَ- الَّذِيْنَ هُمْ فِى صَلَاتِهِمْ خَشِعُوْنَ
নিশ্চয় মুমিনগণ সফলকাম, যারা নিজেদের নামাজে অন্তরের বিনয় প্রকাশ করে। (সূরাঃ মু‘মিন, আয়াত ১-২)
- يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ
হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্যে সিয়ামের বিধান দেওয়া হলো, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে দেওয়া হয়েছিল, যাতে তোমরা মুত্তাকী হতে পার। (সূরা বাকারা, আয়াত ২:১৮৩)
- إِنَّمَا يُوَفَّى الصَّابِرُونَ أَجْرَهُمْ بِغَيْرِ حِسَابٍ
ধৈর্যশীলদের তো অপরিমিত পুরস্কার দেয়া হবে। (সূরা জুমার, আয়াত ৩৯:১০)
এছাড়া আরও বলা হয়েছে :
- তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। আর নিঃসন্দেহে তা বড়ই কঠিন- বিনীতদের জন্যে ছাড়া । ( সুরাহ বাকারাহ ২: ৪৫)
- রমজান মাস, এতে মানুষের দিশারি এবং সৎ পথের সুস্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে আল-কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। (সূরা আল-বাকারা, আয়াত-১৮৫)।
এবং হাদিসে রয়েছে :
- হযরত আবূ হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের অভিমত কী, যদি তোমাদের কারো দরজায় একটি পানির নহর থাকে যাতে সে দৈনিক পাঁচ বার গোসল করে, তার শরীরে কি কোনো ময়লা অবশিষ্ট থাকতে পারে? তারা (সাহাবীগণ) উত্তরে বললেন, তার শরীরে কোনো ময়লা থাকতে পারে না। রাসূল (সা.) বললেন, পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের উদাহরণ এরূপই। বিনিময়ে আল্লাহ তায়ালা তার অপরাধসমূহ মিটিয়ে দেন। (সহীহ বুখারী: ৫২৮, সহীহ মুসলিম: ৬৬৭)
- উসমান ইবনে আবিল আস রা. বর্ণনা করেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, রোযা হল জাহান্নাম থেকে রক্ষাকারী ঢাল। মুমিনগণ এর দ্বারা নিজেকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবে। (মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ১৬২৭৮, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস : ১৬৩৯)
- হযরত আবূ হুরাইরা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, পাঁচ ওয়াক্ত সালাত, এক জুমার সালাত থেকে অপর জুমার সালাত এবং এক রমযান মাসের সিয়াম হতে অপর রমজান মাসের রোজা সেসব গুনাহের জন্যে কাফফারা হয়, যা এর মধ্যবর্তী সময়ে হয়ে থাকে; যখন কবীরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা হয়। (সহীহ মুসলিম:২৩৩)
তাই সকল ঈমানদারদের প্রতি সালাত কায়েম করা এবং সিয়াম সাধনার আমন্ত্রণ রইল, সেই সাথে তাদের সুবিধার্থে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নামাজ ও রোজার স্থায়ী সময়সূচী এখানে দিয়ে দেয়া হলো।
দেখার জন্য ক্লিক করুন
জানুয়ারি - জুন | জুলাই -ডিসেম্বর | নির্দেশিকা |
0 comments:
Post a Comment