সরকারি চাকরির নিয়োগ বেশ দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। তাই শুধু একটি পরীক্ষা দিয়ে বসে থাকলে চলবে না। পাশাপাশি অন্যান্য চাকরির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছিলাম। মাস্টার্স চলাকালীন অবস্থায় বেশ কয়েকটি সরকারি ব্যাংকে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইবা পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ হয়েছিল। যদিও চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হইনি, তার পরেও হাল ছেড়ে দেইনি। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম।
Showing posts with label Philosophy. Show all posts
Showing posts with label Philosophy. Show all posts
Saturday, June 6, 2020
Friday, June 5, 2020
সময় : সুসময় - দুঃসময় ও অসময় (পর্ব ১)
সময় সাধারণত দুই প্রকার - ভালো সময় আর খারাপ সময়।
এছাড়া
অন্য
যা
আছে
সেটি
হল অসময় / ভুল সময় ।
ভালো
সময়
রাস্তার
ফকিরকেও
রাজা
বানিয়ে
দেয়,
আর
খারাপ
সময়ে
ঘটে
ঠিক
তার
উল্টোটা।
কিন্তু
এই
দুই
প্রকার
সময়ের
মধ্যে
এক
অদ্ভুত
মেলবন্ধন
রয়েছে।
কারো
জন্য
ভালো
সময়
তো
অন্য
কারো
জন্য
সেটি
খারাপ
সময়।
আর
সে
জন্যই
বলা
হয়ে
থাকে
- কারো
পৌষ
মাস
তো
কারো
সর্বনাশ।
কখনো
কখনো
ভুল
সময়ে
সঠিক
কোন
ঘটনা
ঘটে
যায়,
আবার
কখনো
সঠিক
সময়ে
ভুল
কিছু
ঘটে
।
Friday, May 18, 2018
প্রশ্ন
প্রিয় 'তুমি' ,
আমি জানি যে এই আমি তোমার অচেনা কেউ নই , তবে অনেকাংশেই অজানা। আর এই চিঠিটা পড়ার পর আবারও ভেবে নিও। আরও একটিবার ভেবে দেখ, আমায় চেনো ? জানো ? ভালবাসো ? কেন ? উত্তর আমাকে দিতে হবে না , কারণ আমি তা জানি। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকেই প্রশ্ন করে দেখ , উত্তর পেয়েছো ? আমায় তুমি কতটা জানো জানিনা , তবে নিজেকে কতটা জানো ? Socrates বলেছিলেন - “To know thyself is the beginning of wisdom.”
তুমি কি সত্যিই জানো আমি কে ? প্রশ্ন রইল তোমার কাছে। চেয়ে দেখো তোমার চারিদিকে কত আলো , কখনও হাতের মুঠোয় ধরার চেষ্টা করেছো ? পারবে না। কিন্তু চোখ মেলে তাকিয়ে দেখো সেই আলো তোমাকে , তোমার চারপাশকে উদ্ভাসিত করেছে। আলোকে নিজের মুঠোয় বন্দি করার চেষ্টা না করে নিজেকে আলোর কাছে সমর্পিত কর। নিজেকে প্রশ্ন করো , স্বার্থপরের মতো মুষ্ঠিবদ্ধ করেছো নাকি ত্যাগের মহিমায় নিজেকে উদ্ভাসিত করেছো ? এই জ্ঞানকে তুমি কি গ্রহণ করতে পারবে ? তুমি কি প্রস্তুত আছো ?
তুমি কি সত্যিই নিজেকে জানো ? যদি জেনে থাকো তাহলে বুঝতে পারবে তোমার আর আমার সম্পর্ক শুধু এই মাটির তৈরি দেহের নয় , যা ক্ষণস্থায়ী। বরং শরীর নামক এই খোলসটিই আমার থেকে তোমাকে আলাদা করেছে। যদি পারো শারীরিক এই বাধাকে তুচ্ছ করে দেখ তুমি আর আমি একই , অভিন্ন। আমার থেকে তোমাকে পৃথক করতে পারবে না।
I am all that has been, that is and that will be; No mortal hath ever me unveiled. - Isis (Egyptian goddess)
অনুরূপ কথা শ্রীকৃষ্ণও বলেছিলেন ভগবত গীতায় , "আমিই শ্রীকৃষ্ণ আমিই অর্জুন , এই জগতে এমন কিছু নেই যা আমি নই" আরও বলেছিলেন , "হে অর্জুন আমিই পরমাত্মা, আমার প্রতি সমর্পনই পরমআত্মার প্রতি সমর্পন।"
If I'm the god for someone then I must be the devil for someone else. When you know who you are, you know your purposes.
তুমি কি সত্যিই জানো আমি কে ? প্রশ্ন রইল তোমার কাছে। প্রতিনিয়ত আমি নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করে চলেছি। গতকালকের আমি আর আজকের আমি - এ দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য করে চলেছি নিরন্তর। আগামী দিনেও এই আমি'ই হয়ত আজকের আমি'র সাথে তুলনা করবো। এ যেন নিজের সাথে নিজেরই দ্বন্দ্ব ! কে বেশি জ্ঞানী ? কে বেশি শক্তিশালী ? কে - ই বা অধিক পূর্ণতা অর্জন করেছে ? এ যেন একে অন্যের উপর আধিপত্য বিস্তারের লড়াই কিন্তু অন্য কেউ নয় - সে তো আমি'ই। অন্য কারও সাথে নয় বরং নিজেকেই নিজের সাথে তুলনা করছি , কারণ আমার মত আর কেউই নেই।
Future - every time you look at it, it changes. Change is the only constant. If you can't change yourself with time the time will change everything against you. আজকের এই আমি - সে তো গতকালের আমি'রই পরিবর্তিত রূপ। কিন্তু এই রূপান্তর শুধু অস্তিত্বের প্রয়োজনে।
“Yesterday is history, tomorrow is a mystery, today is a gift of God, which is why we call it the present.” ― Bil Keane
তুমি কি বাস্তবিক অর্থেই নিজেকে জানো ? তোমার অস্তিত্ব - সে তো আমি। গতকাল, আজ আর আগামী দিনের আমি'র মধ্যে একটি জিনিসই ধ্রুব , আর তা হলো অস্তিত্ব। আর এই অস্তিত্বে মিশে আছো তুমি। আমি ছাড়া যেমন তোমার কোনো অস্তিত্ব নেই , তেমনি তুমি বিহীন আমি নিরর্থক।
“Sometimes the questions are complicated and the answers are simple.” ― Dr. Seuss
আমার দুঃখ-সুখ , বেদনা-বিরহ সবকিছুই তোমার সাথে জড়িত। তুমি বিশুদ্ধ কিন্তু আমি নই , তবুও যে তোমাকেই চাই। আমি জানি , সন্ন্যাস আমার জন্য অনিবার্য তাই সংসারের মোহ নেই। পিছুটানে তোমায় বাঁধবো না কারণ তোমায় ভালবাসি তাই প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব করি না।
Sometimes the truth is not good enough and sometimes the ethics become epic. Sometimes the wrong things can happen at the right time. I don't try to judge people rather I love them, learn from them. Judgement is not always necessary and you may not get enough time for that. In fact you may end up getting wrong conclusion. I'm not afraid of dying but I'm afraid of not living myself.
Don't worry ! Someone, somewhere is made for you. God sends an angel to each and everyone's life. To set you free and fulfill all your wishes. If you don't find one then be the one for yourself and other's as well. Maybe you are the angel for someone else, who knows? The person who's wish is never fulfilled may help to fulfill other's wish. I'll be there for you and help to fulfill all your wishes.
Don't worry ! Someone, somewhere is made for you. God sends an angel to each and everyone's life. To set you free and fulfill all your wishes. If you don't find one then be the one for yourself and other's as well. Maybe you are the angel for someone else, who knows? The person who's wish is never fulfilled may help to fulfill other's wish. I'll be there for you and help to fulfill all your wishes.
তুমি কি আমার বাস্তবিক রূপ জানো ? প্রশ্ন রইল তোমার কাছে। আমি যা লিখেছি তার কতটুকু তুমি বুঝেছো জানিনা। হয়তো কিছুই বুঝোনি কারণ তুমি বাহ্যিক রূপটাই দেখছো কিন্তু আমি তার কথা বলিনি , তুমি শরীরটাকেই বুঝেছো আর আমি আত্মার কথা লিখেছি।
যাইহোক, সর্বদা তোমার কল্যাণ কামনা করি। নিজের প্রতি যত্ন নিও , কারণ তোমার অযত্ন আর অবহেলায় আমার কষ্টটাই বেশি হয়। তোমার সুখে থাকাটাই যে আমার কাছে পরম আনন্দের বিষয়।
ইতি ,
ইতি ,
'আমি'
Tuesday, August 15, 2017
শরীর ও মন এবং সমাজ ও মূল্যবোধ
শরীর ও মন - এর মধ্যে একটি বস্তুগত আর অপরটি অবস্তুগত, তবে কাল্পনিক নয়। সহজভাবে বলতে গেলে একটির Physical Existence আছে আর অপরটির রয়েছে Logical Existence। তবে যারা এই Logic অর্থাৎ এই যুক্তি মানতে নারাজ তাদের জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা যায় - "শরীর এবং মন এক ও অভিন্ন"। সাইকোলজি নিয়ে যখন পড়ালেখা করছিলাম তখন দেখলাম যে এর শুরুতেই শিক্ষার্থীদের মনে এই ধারণাটি গেঁথে দেয়া হয়। তবে দর্শনশাস্ত্র অনুযায়ী মানুষের মনের আলাদা পরিচয় আছে।
শরীরের যেমন চাহিদা আছে তেমনি মনেরও কিছু চাহিদা আছে। মনের চাহিদার মধ্যে অন্যতম হলঃ স্বাধীনতা, বিকাশ, শিক্ষা, ভালবাসা, সম্পর্ক, চিত্ত-বিনোদন, ইত্যাদি। আর শরীরের চাহিদার মধ্যে প্রধানতম হলঃ স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, ক্ষুধা, যৌনতা, প্রবৃত্তি, ইত্যাদি। শরীর যেমন তার চাহিদা পূরণের জন্য তাগিদ দেয় তেমনি মনও তার চাহিদা পূরণ করতে চায়। মানুষের শরীরের মৃত্যুর সাথে সাথে মনেরও মৃত্যু ঘটে। শরীরের মৃত্যুতে শরীরের চাহিদার সমাপ্তি হয়, সেই সাথে হয় মনের মুক্তি। আর এভাবেই হয় মানুষের জীবনের পরিসমাপ্তি। অর্থাৎ যার Physical Existence থাকে না, তার কোন Logical Existence থাকবে না - এটাই স্বাভাবিক। কিন্ত যার Logical Existence নেই তার তো Physical Existence থাকতেও পারে। অর্থাৎ, মনের মৃত্যু হলেও শরীর বেঁচে থাকতে পারে।
যখন মানুষের মনের মৃত্যু ঘটে কিন্তু শরীর জীবিত থাকে তখন মনের চাহিদা গুলোরও মৃত্যু হয়, কিন্তু শরীরের চাহিদার সমাপ্তি হয় না। মনের এই মৃত্যুকে অনেকে আবার অনেক ভাবে প্রকাশ করে থাকে যেমনঃ মানবিকতার মৃত্যু, মনুষ্যত্বের মৃত্যু, মানুষিকতার মৃত্যু কিংবা মানবতার অপমৃত্যু, ইত্যাদি। মৃত মনের কিন্তু জীবিত শরীরের সেই মানুষটি একজন মনুষত্বহীন মানুষ হয়ে বেঁচে থাকে তার শরীরের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। মন নেই, তবে শরীর যখন আছে তার চাহিদা তো থাকবেই আর শরীরের চাহিদাই তখন মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। শরীর তার চাহিদা পূরণে আরো হিংস্র হয়ে উঠে, তখন সমাজ, ধর্ম, শিক্ষা - এ সব কিছুই তুচ্ছ প্রতীয়মান হয়।
মানুষের মৃত্যু বা তার শরীরের মৃত্যু আপনি হয়ত অনেক দেখে থাকবেন, হয়তোবা দুঃখও প্রকাশ করে থাকবেন কিন্তু মনের মৃত্যু হলে আপনি বা আমরা কি করি ? মানুষের মনের এই মৃত্যু কি আপনি কখনও দেখেছেন নাকি উপলদ্ধি করেছেন ? আপনার চারপাশে তাকিয়ে দেখুন, সমাজের বাস্তবিক রূপটা বুঝতে চেষ্টা করুন। মূল্যবোধের অবক্ষয়, নীতিহীনতা, সীমাহীন দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, কুসংস্কার, শিক্ষার অভাব, আইনের লঙ্ঘন, উশৃঙ্খলতা, স্বার্থপরতা - এই সব কি আপনি দেখতে পাচ্ছেন ? তাহলেই মানবতার মৃত্যু আপনি উপলদ্ধি করতে পারবেন।
শরীর যখন অসুস্থ হয় তখন সুস্থতা লাভের জন্য আমরা কত কিছুই না করি। শরীরের মৃত্যু এড়াতে আমাদের প্রচেষ্টার অন্ত থাকে না, কিন্তু মনের অসুস্থতা বা মনের মৃত্যু এড়াতে আমরা কী করছি ? শুধু শরীরের চাহিদাই কি মুখ্য ? মনের চাহিদা গুলোর কি কোন মূল্য নেই ? চিন্তার স্বাধীনতা, সুস্থ মানসিক বিকাশ, সু-শিক্ষা, আদর-স্নেহ-ভালবাসা, নৈতিকতা-মূল্যবোধ এইসব কি আমরা নিশ্চিত করতে পারি না ?
ক্ষুধা-পিপাসায় জর্জরিত হয়ে, চিকিৎসার অভাবে যেমন শরীরের মৃত্যু হয় তেমনি স্বাধীনতা-হীনতায়, সু-শিক্ষার অভাবে, দুর্নীতির অভিশাপে যখন মনের মৃত্যু ঘটবে তখন হয়ত এই দীর্ঘশ্বাস-টাই নিঃসৃত হবেঃ
" মৃত মনের সমাধি বহনকারী জেলখানা স্বরূপ এই শরীরখানা লইয়া এখন আমি কী-ই বা করিব ! মনপাখি যে বহুকাল পূর্বেই খাঁচা ছাড়িয়া উড়িয়া গিয়াছে। "
Wednesday, November 30, 2016
Tuesday, October 4, 2016
অসমাপ্ত ( ২য় পর্ব )
বৃষ্টিতে আমি প্রায় বেশ খানিকটা ভিজে গিয়েছিলাম তাই ফ্যানের ঠিক নিচের সিটেই বসে পড়লাম যাতে শার্টটা অন্তত কিছুটা হলেও শুকিয়ে যায়। বৃষ্টির কারনে বাস আসতে আরও খানিকটা সময় লাগতে পারে। তবে আমি ছাড়া এই বিষয়ে আর কারও কোন চিন্তা নেই। অবশ্য এই শিববাড়ী মোড়ের কাউন্টারে তখন আমরা মাত্র তিনজনই অবশিষ্ট আছি। আমি, অধরা আর সেই কাউন্টারে কর্মরত লোকটি।
অধরা তখনও কাউন্টারের সামনে এক কোনায় দাঁড়িয়ে আছে। হালকা নীল রঙের শাড়িতে যে কোন মেয়েকে সুন্দরী মনে হয় আর এই রমণী যেন সাক্ষাৎ অপ্সরী। যাইহোক, ইচ্ছা না থাকলেও চোখ সরিয়ে নিলাম এবং খবরের কাগজ পড়ায় মনোনিবেশ করলাম। কেননা আমার হাত-পা, চোখ-কান এক কথায় আমার সমগ্র শরীরের উপর যতক্ষন আমার নিয়ন্ত্রন থাকে ততক্ষন সব কিছু ভালোই থাকে আর চারপাশের পরিবেশটাও শান্ত থাকে। তবে যদি কখনও আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তবে সেটা ভয়ানক সুনামির পূর্বাভাস।
বৃষ্টি কিছুটা কমে গেলে অধরা ভেতরে এসে আমার পাশের সিটটা খালি রেখে ঠিক তার পাশের সিটে বসে পড়ল। আড়চোখে আমি সেটা লক্ষ্য করলাম আর মনে মনে ভাবলাম বাসে যদি আমার পাশের সিটটা নিয়ে থাক তবে পুরো রাস্তা তোমাকে আমার পাশে বসেই যেতে হবে। বাসে যাতায়াতের সময় কোন সুন্দরী মেয়ে পাশে বসলে ভাল লাগে সেটা ঠিক, তবে আমি যদি কোন সুন্দরী মেয়ের পাশে বসি তবে সেটা সেই মেয়েটার জন্যই নিরাপদ। কারন রাস্তা-ঘাটে সব ছেলেরা যেমন আমার মত সুশীল না তেমনি আমার নিজের উপর যতটা আস্থা আছে অন্য কারও উপর ততটা নেই।
এসব সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতে কখন যে সময় কেটে গেল টেরই পাইনি। দেখলাম বাস চলে এসেছে, ৭০ নাম্বার বাস। বাসে উঠার আগে ওয়াশরুমে ঢুকলাম, জামা-কাপড় অনেকটাই ভিজে গিয়েছিল তাছাড়া কিছুটা ফ্রেশ হবারও প্রয়োজন বোধ করছিলাম। ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে দেখলাম বাসটা ছেড়ে দেয়ার পায়তারা করছে, বৃষ্টির জন্য এমনিতেই দেরি হয়ে গেছে। অধরাকেও দেখতে পেলাম না, হয়ত আমার আগেই বাসে গিয়ে উঠেছে। তাই আমিও আর দেরি না করে উঠে পড়লাম বাসে।
বাসে বেশ ভালোই লোক সমাগম ছিল। আমার সিটটা ছিল E4 , মাঝামাঝি হওয়ায় সুবিধাই ছিল। যেমনটা মনে মনে ভাবছিলাম তেমনটাই হল, অধরার সিটটা ছিল ঠিক আমার পাশেই E3 । কিন্তু সমস্যা হল আমি আসন গ্রহন করার পূর্বেই সে তার আসন দখল করে বসে পড়ায় তাকে সরিয়ে তার পরেই আমি আমার আসনে যেতে পারব। অবস্থা যখন এই রকম তখন আমি পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লাম। দেখলাম অধরার সেদিকে খেয়ালই নেই, সে বরং বাইরে ওই দূর আকাশটার দিকেই আছে। এইবার আমি কিছুটা ঝেড়ে কাশলাম -
- এক্সকিউজ মি !
- ওহ আচ্ছা সরি।
আমি সিটে গিয়ে বসার পরই মনে হল অধরা মুচকি হাঁসছে আর কিছুটা আড়চোখে আমাকে দেখছে। এই রকম পরিস্থিতিতে আমার মত সুবোধ ছেলেদের কিছুটা লজ্জা পাওয়াই স্বাভাবিক। হয়ত সে আমাকে শুরু থেকেই লক্ষ্য করছিল আর আমাকে পাশে এসে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেও না দেখার ভান করছিল। যদি সত্যিই সে এমনটা করে থাকে তবে তার এই নিখুঁত অভিনয়ের প্রসংশা করতেই হবে। কে জানে এই সব সুন্দরী, ছলনাময়ী মেয়েদের মনে কি আছে? আর তাছাড়া প্রায় সব মেয়েই কম-বেশি পাকা অভিনেত্রী হয়ে থাকে।
অতঃপর বাস শিববাড়ি থেকে সোনাডাঙার দিকে রওয়ানা হল। আমিও সিটটাতে হেলান দিয়ে একটু আয়েশ করে বসলাম। রাস্তা ফাঁকা থাকায় খুব বেশি সময় লাগল না। সোনাডাঙা থেকেই বেশিরভাগ যাত্রী বাসে উঠল। বাস এখানে প্রায় ১০-১৫ মিনিট দেরি করল, একবার ভেবেছিলাম একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসি কিন্তু আবার চিন্তা করলাম বার-বার আসা-যাওয়া করলে হয়ত আমার পাশের সুন্দরী যাত্রী কিছুটা বিরক্তি বোধ করবেন তাই বাসেই বসে থাকলাম। দেখতে দেখতে বাসের প্রায় সব গুলো আসনই পূর্ণ হয়ে গেল। খুব বেশি সময় লাগল না, আমরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম।
রাস্তা বেশ ফাঁকাই দেখতে পেলাম, তেমন কোন কোলাহল নেই। বৃষ্টির পর চারপাশের পরিবেশটা বেশ স্নিগ্ধ আর প্রাণবন্ত বলেই মনে হচ্ছিল। বাসের জানালাটা আরও একটু খুলে দিলাম যাতে বাইরের পরিবেশটা আরও ভালভাবে দেখা যায়। তাছাড়া আমার শার্টটি বৃষ্টিতে বেশ খানিকটা ভিজে গিয়েছিল, সেটাও শুকানো প্রয়োজন। হয়ত আমার সেই আধ-ভেজা অবস্থা দেখেই অধরা কিছুটা মুচকি হেসেছিল। এখন বাতাসে এই ভেজা শার্টটা শুকাতেও হয়ত বেশ খানিকটা সময় লাগবে।
আকাশটা এখন বেশ পরিষ্কার তবে বাতাসটা বেশ ভারী মনে হচ্ছিল। এই সময়টাতে আদা-লেবু দিয়ে কড়া এক কাপ চা খাওয়া আর গিটারে পরিচিত সেই গানের মুহূর্তগুলো যে কতোটা মিস করছি তা কোনভাবেই ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। আপাততঃ কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনেই সেই অনুভূতিটুকু নেয়ার চেষ্টা করাটাই শ্রেয় মনে হল। গান শুনতে শুনতে বাইরের দৃশ্য দেখতে লাগলাম। বৃষ্টির পর বৃষ্টির গানগুলো শুনলে এক অন্যরকম অনুভূতি হয়। পাশ থেকে অধরা কিছু বলছিল মনে হল। তার দিকে না ফিরেই কি বলছিল তা শোনার চেষ্টা করলাম।
- এক্সকিউজ মি ! আপনি যদি কিছু মনে না করেন তবে আমি জানালার পাশটায় বসতে চাচ্ছিলাম।
ওমা ! বলে কি এই মেয়ে? আপাতত কোনভাবেই এই অনুভূতিটুকু বিসর্জন দিতে পারব না। তাই শুনেও না শোনার ভান করলাম। কানে হেডফোন থাকায় এমন ভাব করলাম যেন চারপাশে কি হচ্ছে আমি তার কিছুই জানি না। এটা পূর্বের ঘটনার প্রতিশোধ নয়, পাকা অভিনেত্রীদের সাথে অভিনয় করাটা দোষের কিছু নয় বরং দুর্লভ একটা সুযোগ লুফে নেয়ার মতোই মজার একটা ব্যাপার।
অতঃপর বাস শিববাড়ি থেকে সোনাডাঙার দিকে রওয়ানা হল। আমিও সিটটাতে হেলান দিয়ে একটু আয়েশ করে বসলাম। রাস্তা ফাঁকা থাকায় খুব বেশি সময় লাগল না। সোনাডাঙা থেকেই বেশিরভাগ যাত্রী বাসে উঠল। বাস এখানে প্রায় ১০-১৫ মিনিট দেরি করল, একবার ভেবেছিলাম একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসি কিন্তু আবার চিন্তা করলাম বার-বার আসা-যাওয়া করলে হয়ত আমার পাশের সুন্দরী যাত্রী কিছুটা বিরক্তি বোধ করবেন তাই বাসেই বসে থাকলাম। দেখতে দেখতে বাসের প্রায় সব গুলো আসনই পূর্ণ হয়ে গেল। খুব বেশি সময় লাগল না, আমরা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম।
রাস্তা বেশ ফাঁকাই দেখতে পেলাম, তেমন কোন কোলাহল নেই। বৃষ্টির পর চারপাশের পরিবেশটা বেশ স্নিগ্ধ আর প্রাণবন্ত বলেই মনে হচ্ছিল। বাসের জানালাটা আরও একটু খুলে দিলাম যাতে বাইরের পরিবেশটা আরও ভালভাবে দেখা যায়। তাছাড়া আমার শার্টটি বৃষ্টিতে বেশ খানিকটা ভিজে গিয়েছিল, সেটাও শুকানো প্রয়োজন। হয়ত আমার সেই আধ-ভেজা অবস্থা দেখেই অধরা কিছুটা মুচকি হেসেছিল। এখন বাতাসে এই ভেজা শার্টটা শুকাতেও হয়ত বেশ খানিকটা সময় লাগবে।
আকাশটা এখন বেশ পরিষ্কার তবে বাতাসটা বেশ ভারী মনে হচ্ছিল। এই সময়টাতে আদা-লেবু দিয়ে কড়া এক কাপ চা খাওয়া আর গিটারে পরিচিত সেই গানের মুহূর্তগুলো যে কতোটা মিস করছি তা কোনভাবেই ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। আপাততঃ কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনেই সেই অনুভূতিটুকু নেয়ার চেষ্টা করাটাই শ্রেয় মনে হল। গান শুনতে শুনতে বাইরের দৃশ্য দেখতে লাগলাম। বৃষ্টির পর বৃষ্টির গানগুলো শুনলে এক অন্যরকম অনুভূতি হয়। পাশ থেকে অধরা কিছু বলছিল মনে হল। তার দিকে না ফিরেই কি বলছিল তা শোনার চেষ্টা করলাম।
- এক্সকিউজ মি ! আপনি যদি কিছু মনে না করেন তবে আমি জানালার পাশটায় বসতে চাচ্ছিলাম।
ওমা ! বলে কি এই মেয়ে? আপাতত কোনভাবেই এই অনুভূতিটুকু বিসর্জন দিতে পারব না। তাই শুনেও না শোনার ভান করলাম। কানে হেডফোন থাকায় এমন ভাব করলাম যেন চারপাশে কি হচ্ছে আমি তার কিছুই জানি না। এটা পূর্বের ঘটনার প্রতিশোধ নয়, পাকা অভিনেত্রীদের সাথে অভিনয় করাটা দোষের কিছু নয় বরং দুর্লভ একটা সুযোগ লুফে নেয়ার মতোই মজার একটা ব্যাপার।
( চলবে )
[ বি. দ্র : এই গল্পের চরিত্র ও ঘটনাবলীর সাথে কারও ব্যাক্তিগত জীবনের সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য খোঁজাটা নিরর্থক, কারও সাথে কোনভাবে মিলে গেলে তা অনভিপ্রেত কাকতাল মাত্র। ]
Friday, September 2, 2016
অসমাপ্ত ( ১ম পর্ব )
সঠিক দিন, তারিখ, ক্ষণ কোন কিছুই মনে নেই। কেবল এতটুকুই মনে আছে সেদিন আকাশ থেকে অঝোর ধারায় বৃষ্টি ঝরেছিল। হয়ত প্রকৃতিও আমাদের প্রথম সাক্ষাৎকে তার অনিন্দ্যসুন্দর ভঙ্গিমায় উদযাপন করে নিয়েছিল। অনেক কারনেই ঢাকার বাইরে অন্য যে শহরটাতে আমার সবথেকে বেশি ভ্রমন করা হয়েছে সেটি হল খুলনা শহর। আর খুলনা শহরে আমার ফেলে আসা অনেক স্মৃতির মধ্যে সবথেকে পছন্দের স্মৃতিই ছিল তার সাথে কাটানো কিছু সময়।
আমি জানি না তার নামটি কি ছিল, জিজ্ঞাসা করিনি, হয়তোবা তাকে হারিয়ে ফেলার কথাটাও তখন চিন্তা করিনি। যাইহোক, লেখার সুবিধার্থে আর পাঠকের কাছে লেখাটি সহজবোধ্য করার জন্য তার একটা নাম দেয়া প্রয়োজন মনে করছি। আমার জীবনে অনেকটা স্বপ্নের মতোই সে এসেছিল, যে স্বপ্নের ব্যাপ্তিকাল ছিল মাত্র সাড়ে ছয় ঘন্টা। সেই স্বপ্ন, যা ছিল কাল্পনিক, অলীক যাকে আজও শুধু আমিই অনুভব করতে পারি। তাকে ধরা যায় না বা ছোঁয়া যায় না, তাই তার নাম দেয়া যাক অধরা।
সকাল সকাল নাশতা সেরে বেরিয়ে পড়েছিলাম মেস থেকে। সকাল পৌঁনে দশটায় বাস ছাড়বে খুলনা শিববাড়ি মোড় থেকে তারপর দশটায় সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকার উদেশ্যে ছেড়ে যাবে। গতরাতেই কথা হয়েছিল সেই অনুযায়ী আমার সাথে আমার মতো আরও এক হতভাগার একই বাসে যাবার কথা ছিল। কিন্ত সকালেই সে ফোন করে জানিয়ে দিল যেতে পারছে না, অতি মাত্রায় সিরিয়াস শিক্ষার্থী হলে যা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস, ল্যাব, পরীক্ষা সে তো আমারও ছিল। সব কিছু জলাঞ্জলি দিয়েই তো দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে কবে ছুটি দিবে তার জন্য আমার পক্ষে অপেক্ষা করা সম্ভব নয়, তার থেকে বরং আমিই কিছুদিনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে ছুটি দিয়ে দিলাম। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় কেন স্কুল কলেজে থাকতেও আমার এই ছুটি দেয়ার রীতি প্রচলিত ছিল। কেউ আসুক বা নাই আসুক, ছুটি পাক বা নাই পাক আমি আপাতত এই প্যারাময় জীবন থেকে কিছুদিনের ছুটি নিয়ে ঘুরে আসি।
কাউন্টারে পৌঁছে আবারও সেই হতভাগাকে ফোন দিলাম তারপর তার টিকেটটা বাতিল করে আমি বাসের উদ্দেশ্যে অপেক্ষা করতে লাগলাম। এ.কে ট্রাভেলস এর কাউন্টার, ঢাকা-খুলনা রুটের এক অপ্রতিদ্বন্দী বাস সার্ভিস। বেশিরভাগ সময় এই বসেই আসা-যাওয়া করতাম তাই এখানকার লোকজনও পরিচিত ছিল। ফোনে আগেই বলে রেখেছিলাম তাই নতুন করে আর কিছু বলারও প্রয়োজন হয়নি। বাস আসতে আরও প্রায় ২৫ মিনিট লাগবে। পরিচিত থাকায় কিছু এক্সট্রা সুবিধা পেতাম, ওরা চা অফার করল আমিও চা খেতে খেতে ঐ দিনের পত্রিকায় চোখ বুলাচ্ছি। হঠাৎ দেখলাম এক সুন্দরী রমণী কাউন্টারে এসে রানিং বাসের টিকেট চাইছে। সম্ভবত যেই টিকেটটা আমি একটু আগে বাতিল করেছিলাম সেটিই একমাত্র খালি সিট্ ছিল, না হলে হয়ত কোন কারনে ঐ সিটটাই তার পছন্দ হয়েছিল, কে জানে? কাউন্টারের লোকটা বলছিল যে এই সিটটা একটু আগেই বাতিল করা হয়েছে তাই তাকে দেয়া সম্ভব হচ্ছে নয়ত পরবর্তী বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হত।
যাইহোক, আমিও চা শেষ করে উঠে পড়লাম আর বাস আসতে যেহেতু আরও বেশ কিছুটা সময় বাকি তাই বাইরে গিয়ে একটা সিগারেট ধরালাম। সকাল থেকে আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকলেও এতটা অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল না। বাতাসের গতি-বিধিতেও বেশ পরিবর্তন এসেছে। মনে হচ্ছে খুব শীঘ্রই বৃষ্টি শুরু হবে। আমিও তাই বৃষ্টির অপেক্ষা করতে লাগলাম। বৃষ্টি আসবে আর আমি ভিজব না এমনটা আবার হয় নাকি? তাহলে তো শুধু আমার না বৃষ্টিরও খারাপ লাগবে।
ছোটবেলা থেকেই আমি বৃষ্টিবিলাসী, বৃষ্টির সাথে যেন আমার অনেক পুরোনো দিনের সখ্য। তাছাড়া আমার জীবনের সবথেকে বড় দুর্ঘটনাটি তখনও ঘটেনি তাই এখনকার মত বৃষ্টিকে এড়িয়ে চলতাম না সেই সময়। বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে কল্পনায় হারিয়ে যাওয়াটাই তখন স্বাভাবিক ছিল যেমনটা এখন আমার কাছেই কল্পনার বিষয় মনে হয়। এখন যদি বৃষ্টিতে ভিজতে হয় তবে সেটা একান্ত বাধ্য হয়েই ভিজতে হয়, যখন অন্য কোন উপায়ান্তর থাকে না। তাছাড়া এখন এই বৃষ্টি আর আমাকে সেই পুরোনো দিনের আবেগ, অনুভূতি দিতে পারে না। পুরোনো সেই সময়ের সাথে পুরোনো সেই বৃষ্টিটাও যেন হারিয়ে গেছে।
ঝড়ো বাতাস বইছে, রাস্তায় ছুটছে সবাই। যে যেখানে পারছে আশ্রয় নিচ্ছে। যদি এখন সাথে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সহ ব্যাগটা না থাকত আর যদি ঢাকার উদ্যেশে রওয়ানা না দিতাম তবে ঝড়ো বাতাস উপেক্ষা করেই বৃষ্টিতে ভিজতাম। আমি সকলের শেষে অর্ধেকটা ভেজা অবস্থায় কাউন্টারে প্রবেশ করলাম। সে সময় কাউন্টারে আমরা তিন চার জন লোক ছাড়া আর তেমন কেউ ছিল না। দেখলাম সেই সুন্দরী রমণীটি কাউন্টারের সামনে এক কোনায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টি উপভোগ করছে। ঝড়ো বাতাসে তার বাঁধনহারা এলোমেলো চুলগুলো তাকে বড্ড বিরক্ত করছিল। তবুও সে তার দৃষ্টি মেলে তাকিয়ে ছিল ঐ সুদূর আকাশপানে, যেখান থেকে মেঘ গুলো বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ছে। এই সুনয়না, এলোকেশী, সুহাসিনী, অপরূপা রূপসীই হচ্ছে অধরা।
( চলবে )
[ বি. দ্র : এই গল্পের চরিত্র ও ঘটনাবলীর সাথে কারও ব্যাক্তিগত জীবনের সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য খোঁজাটা নিরর্থক, কারও সাথে কোনভাবে মিলে গেলে তা অনভিপ্রেত কাকতাল মাত্র। ]
Monday, February 29, 2016
উপলদ্ধি ( ৫ম পর্ব )
পার্থিব জীবনের সংকটময় মুহূর্তে ধৈর্য ধারণ করা কষ্টকর বটে কিন্তু আমাদের মনে রাখা উচিত যে এই অবস্থা চিরস্থায়ী নয় । যখন আমরা কোন সংকটময় অবস্থার সম্মুখীন হই তখন সেই অবস্থাকে আরও চরমভাবাপন্ন করতে নতুন করে আরও কিছু সমস্যার সৃষ্টি হয় । আবার যখন আমরা সেই সংকটময় অবস্থা থেকে মুক্তি লাভ করি তখন ধীরে ধীরে অন্য সকল সমস্যাও দূর হয়ে যায় ।
Sunday, January 31, 2016
Wednesday, December 30, 2015
Friday, November 27, 2015
My crazy stupid thoughts ( Part 13 )
- As time changes, changing is necessary but not sufficient. If you can't change yourself with the time, then it will change everything against you.
- You may have thousands of reasons of your failure but at the end it only matters that you have failed.
Thursday, September 17, 2015
সময়
এই বৈচিত্র্যময় পৃথিবীতে একটি মানবশিশু যখন জন্মগ্রহণ করে, সে টাকা-পয়সা
বা ধন-সম্পদ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে না। মানুষ খালি হাতেই এই পৃথিবীতে আসে,
আবার খালি হাতেই পৃথিবী ছেড়ে চলে যায়। এর মাঝে থাকে কিছুটা সময়কাল, জন্মের
পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সময়কাল।
মানুষ পৃথিবীতে যা কিছুই
অর্জন করুক, তা শুধু সময়ের বিনিময় মাত্র। আপনি যে কাজে আপনার যত সময় ব্যয়
করবেন, সেই কাজেই আপনি তত দক্ষতা অর্জন করবেন। আর আপনার এই কর্মদক্ষতা ও
সময়ের বিনিময়েই আপনি অর্জন করতে পারবেন টাকা-পয়সা, ধন-সম্পদ,
শিক্ষা-দীক্ষা, খ্যাতি-সুনাম সবকিছু। ধরুন আপনি হয়ত ভাবছেন আপনার কোন এক
বন্ধুর কথা, সে কিভাবে এত ভাল ফুটবল খেলে? আপনি যে সময়টাতে এই সব চিন্তা
করছেন, সেই সময়টাতে হয়ত আপনার বন্ধুটি ফুটবল প্র্যাকটিস করছে। আপনিও যদি
তার মত ভাল ফুটবল খেলতে চান তাহলে আপনার বন্ধুটির মত ফুটবল প্র্যাকটিসে সময়
ব্যয় করুন। কারন আপনি উত্তরাধিকারসূত্রে সম্পত্তি লাভ করতে পারেন, দক্ষতা
নয়।
সময় কারও জন্য অপেক্ষা করে না। আপনার প্রচুর
টাকা-পয়সা আছে, তাই বলে আপনি নিশ্চয় তা জলে ভাসিয়ে দিবেন না। আগেই বলেছি,
সময়ের বিনিময়েই আপনি অর্জন করতে পারবেন টাকা-পয়সা, ধন-সম্পদ সবকিছু।
তাহলে, আপনি সময় কেন বৃথা নষ্ট করবেন? কে জানে, আপনি যে সময়টা বৃথা নষ্ট
করছেন হয়ত সে সময়টাতেই আপনার জন্য ভাল কিছু অপেক্ষা করছে।
Tuesday, July 28, 2015
Tuesday, July 7, 2015
Wednesday, May 27, 2015
Saturday, February 7, 2015
Sunday, January 4, 2015
My crazy stupid thoughts ( Part 10 )
- I'm sorry .... Sometimes I don't actually mean what I say and of course I'm not the perfect one but may be a little special compared to others !!
- Some memories that hunts us down . Just let it go and find peace yourself . Remember you are the only solution of it .
Saturday, December 27, 2014
My crazy stupid thoughts ( Part 9 )
- God sends an angel for everyone !
- You may not be aware of that but God always sends someone to show you the right path . I still don't know when God will send one for me !!
- If you don't find one for yourself, then you may be the angel for someone else !!!